ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি: জামায়াতে ইসলামী বদলে যাচ্ছে। এই নিয়ে দলের মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা চলছে। সংগঠনের মধ্যে এই আলোচনা জেলা-উপজেলা পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি দলের একাধিক নেতা স্বীকার করেছেন। জানা যায়, জামায়াতে ইসলামীর ওপর সরকারের ‘ক্র্যাকডাউন’ শুরুর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে কমবেশি আলোচনা চলছে। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেতে জামায়াতকে নামের মধ্যে সংশোধনী আনতে হয়। দলটির আগের নাম ছিল ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’। সংশোধন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতার বিষয়টি জামায়াতকে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত করে রেখেছিল। এখন মানবতা বিরোধী বিচার শুরু হওয়ায় একটি দলের জন্য আরো জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
দলের একটি সূত্র জানায়, এই জটিলতা শুরু নাকি আরো আগে। দলের মধ্যে যারা একাত্তরের পরে এসেছেন তারা চাইছেন ‘চিহ্নিত’ লোকদের বাদ দিয়ে নতুনদের নিয়ে দল গঠন করতে। দলের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর প্রস্তাবও অনেকে করেন। তখন ওইসব নেতাদের ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত করে দলের মধ্যে কোণঠাসা করা হয়। জানা যায়, এদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। যাদের মধ্যে দু’জন এখন কারাগারে আছেন। জানা যায়, দলের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ‘সংস্কারপন্থী’দের কোণঠাসা করতে নিজেদের মধ্যে গ্রুপ গড়ে তোলেন। আর দলটির বৈশিষ্ট্য হলো আমীর যা চাইবেন তার বাইরে কারো কিছু করার থাকে না। ফলে কথিত সংস্কারপন্থীরা দলে কোণঠাসা হয়ে যান। এ ব্যাপারে নিজামী-মুজাহিদকে বিশেষভাবে সহযোগিতা করে দলের ঢাকা মহানগর কমিটি। এরও আগে ছাত্রশিবিরের একটি গ্রুপ দল ছেড়ে চলে যায়। এদের বেশিরভাগই ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এই বিষয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদদের ‘নেতিবাচক’ ভূমিকাকে দায়ী করা হয়। এই নিয়েও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা দু’ভাগে ভাগ হয়ে যান। কথিত সংস্কারপন্থী জামায়াত নেতারা বেরিয়ে যাওয়া শিবির নেতাদের সমর্থন করতেন বলে কথা ওঠে। এরপর একের পর এক নেতাদের গ্রেফতারের পর বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে নানা আলোচনা চলতে থাকে। এখন জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও মহানগর অফিস বন্ধ। শিবিরের অফিসও তালাবদ্ধ। নেতারা বলতে গেলে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেছেন। এই পরিস্থিতিতে পত্রিকায় প্রকাশিত দলের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ও বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের একটি লেখা নিয়ে সর্বত্র আলোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি নিয়ে দলের তৃণমূল পর্যায়ে কথা চলছে বলে জামায়াতের একটি সূত্র বার্তা২৪ ডটনেটকে নিশ্চিত করেছেন। ব্যারিস্টার রাজ্জাকের লেখাটির দৈনিক নয়া দিগন্তে গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। ‘আরব বসন্ত এবং দেশে দেশে ইসলামী আন্দোলন’ নামে প্রকাশিত লেখাটিতে ব্যারিস্টার রাজ্জাক বোঝাতে চেয়েছেন, এখন বাস্তবতার নিরিখে সব কিছু করতে হবে। চিন্তাকে সুদূরপ্রসারী করতে হবে। তা না হলে টিকে থাকা যাবে না। ব্যারিস্টার রাজ্জাক তার লেখায়, বিভিন্ন দেশে ইসলামী দলগুলো চরম বৈরিতার মধ্যে নিজেদেরকে টিকিয়ে রেখে ক্ষমতায় আসছে তার বর্ননা দেন। তিনি লিখেছেন, “অক্টোবরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তিউনিসিয়ায়। ২১৭ আসনের গণপরিষদে রশিদ ঘানুশির ইসলামপন্থী দল আন্নাহদা ৮৯ আসন পেয়ে সর্ববৃহৎ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ২৯ আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে সিপিআর (কংগ্রেস ফর দ্য রিপাবলিক), আর ২৬ আসন পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে আরিধা। শেষোক্ত দু’টি দলই সেকুলার আদর্শে বিশ্বাসী। এরপর নভেম্বর মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় মরক্কোতে। ৩৯৫ আসনের পার্লামেন্টে ১০৭ আসন পেয়ে সর্ববৃহৎ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে মধ্যমপন্থী ইসলামি দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি।”মিসর সম্পর্কে তিনি লিখেছেন,“অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মিসরের নির্বাচনে ইখওয়ানের রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (এফজেপি) ৫০৮ আসনের পার্লামেন্টে সর্বমোট ২৩৫ আসন পেয়ে সর্ববৃহৎ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ১২৩টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সালাফিপন্থী নূর পার্টি। ৩৮টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে উদারপন্থী ওয়াফদ্ পার্টি। নিয়মের ব্যত্যয় না ঘটলে ইখওয়ানই আগামীতে কোয়ালিশন সরকার গঠন করবে। মোবারকের আমলে ইখওয়ান নিষিদ্ধ দল হলেও পার্লামেন্টে বিভিন্ন নামে এবং নির্দলীয়ভাবে ইখওয়ানের আসনসংখ্যা ছিল ৮০। ডাক্তার, প্রকৌশলী ও আইনজীবীদের সংগঠনের বেশির ভাগই ছিল ইখওয়ানের দখলে। সমাজসেবার কারণে তারা ছিলেন জনগণের খুব কাছাকাছি। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণের মতো তাদের কোনো রাজনৈতিক দুর্নামও ছিল না। তারপরও তারা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির নামে আলাদা একটি প্লাটফর্ম সৃষ্টি করেছেন। ঘোষণা করেছেন একজন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানকেও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মেনে নিতে তাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।”তুরস্ক প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, “আমার তিনবার তুরস্ক সফরের সুযোগ হয়েছে। ১৯৯৬ সালে প্রথম সফরের সময় নাজমুদ্দিন আরবাকান ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সফরে রেফাহ পার্টির এক যুবক সংসদ সদস্য আমাকে বলেছিলেন, ‘ইসলামের জন্য তুরস্কে কাজ করা ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের চেয়ে হাজার গুণ কঠিন।’ স্মরণ করা যেতে পারে, একটি কবিতা লেখার কারণে রজব তৈয়ব এরদোগানকে জেলে যেতে হয়েছিল এবং তিনি নির্বাচন করার জন্য অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিলেন। সেই তুরস্ক আজ মুসলিম বিশ্বের অলিখিত নেতৃত্বের আসনে সমাসীন হওয়ার সম্মান অর্জন করেছে।”এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রাজ্জাক আরো বলেন, “আতাতুর্কের ‘আধুনিক তুরস্কে’ সেকুলারিজমের শিকড়, সমাজ ও রাষ্ট্রের অনেক গভীরে প্রবেশ করেছে। এমনকি, সেকুলার ফ্রান্সের চেয়ে সেকুলার তুরস্ক অনেক বেশি সেকুলার। তুরস্কের সেনাবাহিনী নিজেদের সেকুলারিজমের রক্ষাকারী বলে মনে করে। তারা ১৯৬০, ১৯৮০ এবং সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে ক্ষমতা দখল করেছিল। ১৯৯৮ সালে নাজমুদ্দিন আরবাকানকে যখন ক্ষমতাচ্যুত করা হয় তখন রজব তৈয়ব এরদোগান ছিলেন তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুলের মেয়র। ক্ষমতাচ্যুতির পর নীতিগত প্রশ্নে এরদোগানের নেতৃত্বে অপেক্ষাকৃত কম বয়স্কদের সাথে বর্ষীয়ান নেতা আরবাকানের মতবিরোধ হয়। আরবাকান সরাসরি ইসলামের কথা বলতেন এবং পাশ্চাত্যের সমালোচনা করতেন। তার এসব বক্তব্যকে সেনাবাহিনী চিত্রিত করে সেকুলারিজমের বিরোধিতা রূপে। এরদোগান ও আবদুল্লাহ গুল ‘জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি’ নামে নতুন দল গঠন করে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে সেকুলারিজমকে এ বলে সংজ্ঞায়িত করেন যে, সেকুলারিজমের অধীনে ইসলামসহ সব ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। তারা গুলেন মুভমেন্ট ও অন্যান্য উদারপন্থীদের সমর্থন লাভ করেন। তা ছাড়া তারা অর্থনৈতিক উন্নতির ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেন। ফলে ২০০২ সালের নির্বাচনে নবগঠিত একে পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেন। পরপর দু’টি নির্বাচনে তারা বিজয়ী হন। একে পার্টির নেতৃত্বে তুরস্ক অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। দীর্ঘ দিন ধরে তুরস্ককে একটি ছোট্ট গ্রুপ শাসন করে আসছিল। এ কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠীতে ছিল সেনাবাহিনীর একটা অংশ, উচ্চতর আদালতের বিচারপতিদের একটি অংশ, সুশীলসমাজ ও সংবাদমাধ্যমের একটি অংশ। তারাই সিদ্ধান্ত নিত কারা ক্ষমতায় থাকবে বা থাকবে না। এরদোগানের আগে কোনো প্রধানমন্ত্রী এদের চ্যালেঞ্জ করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেননি। অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে এরদোগান সংবিধান সংশোধন করেছেন এবং সত্যিকার অর্থে তুরস্কে গণতন্ত্র কায়েম করেছেন। তুরস্কই প্রমাণ করল নেতৃত্বের কাজ হচ্ছে, একটি পথ বন্ধ হলে আরো তিনটি পথ খোলা। দ্বীনের পথে কোনো কাজে সঙ্কীর্ণতা নেই (সূরা হজ-২২:৭৮), যারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে, আল্লাহ তাদের পথ দেখিয়ে দেন (সূরা আনকাবুত ৬৯:২৯)।”
রাজ্জাক লিখেছেন, “তুরস্কের একে পার্টি এবং মিসরের ইখওয়ানুল মুসলিমিনের পথ ধরে ৬০ বছরেরও অধিক সময় ধরে কার্যরত ভারতের জামায়াতে ইসলামী গত বছরের এপ্রিল মাসে ‘ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়া’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। তাদের স্লোগান হচ্ছে- ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও সমতা। পাশাপাশি জামায়াত তার আদর্শিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। ১৬ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি জামায়াতের দায়িত্বশীল হলেও তাতে পাঁচজন অমুসলমান রয়েছেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন কেরালা রাজ্যের ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ফাদার আব্রাহাম জোসেফ এবং কর্নাটকের সাবেক মন্ত্রী (অমুসলিম) ললিতা নায়ার। এরা দু’জনই সহসভাপতি। অনুরূপভাবে মালয়েশিয়ার ইসলামি আন্দোলন পিএএস (এক সময় যারা দু’টি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিলেন; এখন শুধু একটিতে, কিন্তু ফেডারেল পার্লামেন্টেও তাদের সদস্য রয়েছে) ইসলামি রাষ্ট্রের কথা বাদ দিয়ে শুধু ন্যায়বিচারের কথাই বলছে। তুরস্ক, তিউনিসিয়া, মালয়েশিয়া, মিসর ও ভারতে ইসলামি আন্দোলনের এই কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তনের আসল লক্ষ্য হচ্ছে দ্বীনের বাস্তবায়ন (সূরা সফ ৬১:৯)। কৌশলগত সঠিক সিদ্ধান্ত ছাড়া দ্বীনের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।”জামায়াতের এই কেন্দ্রীয় নেতা লিখেছেন, “নেতৃত্বদানের জন্য (সূরা আল ফুরকান ২৫:৭৪) দেশে দেশে ইসলামি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে বাস্তবধর্মী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে তুরস্কের একে পার্টি, মিসরের ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি, তিউনিসিয়ার আন্নাহাদা পার্টি এবং ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়া থেকে অনেক অনেক কিছু শিক্ষণীয় আছে। ছোট-বড় ইসলামি দলগুলোকে সব সঙ্কীর্ণতা ও আত্মম্ভরিতার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে কোনো দোষ নেই। মানুষের দুঃখ-কষ্ট ও বিপদ-মুসিবত বাড়ানোর জন্য আল্লাহ পবিত্র কুরআন নাজিল করেননি (সূরা তাহা ২০:১)।
সবশেষে ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, “আরব বসন্ত গোটা বিশ্বকে দারুণভাবে নাড়া দিয়েছে এবং পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের অনেকটা অবাক করে দিয়ে ইসলামপন্থীরাই এর ফসল ঘরে তুলেছেন। সামপ্রতিক কালে আরব বিশ্বের নির্বাচনী ফলাফল এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ বহন করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশের গায়ে এই আরব বসন্তের বাতাস কখন লাগবে?”
ব্যারিস্টার রাজ্জাক মূলত বলতে চেয়েছেন, জামায়াতকে পরিবর্তনে আসতে হবে। এই পরিবর্তন নামে এবং কর্মকৌশলে। অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের এই লেখাটি প্রকাশের পর তৃণমূল পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে জানা যায়। কিভাবে জামায়াত তার ‘বিতর্কিত’ ইমেজ থেকে বেরিয়ে আসবে সেই আলোচনা জোরদার হয়েছে বলে দলের একটি সূত্র জানায়। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াত মহানগরী এক নেতা বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেন, বিষয়টি ততো সহজ নয়। কারাগারে আটক নেতাদের বিষয়টি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত দলের সংস্কার কঠিন। তিনি স্বীকার করেন, দলের তরুণদের মধ্যে সংস্কারের বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে। জামায়াতের আরেকটি সূত্র জানায়, দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের থেকে যারা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তারা কোনদিকে যাবেন সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এরা খুব হিসাব-নিকাশ করে পা ফেলছেন। কারণ এখানে দুনিয়াবি লাভ-লোকসানের প্রশ্ন জড়িত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন