মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১১

ফটোশপ শিখুন বাংলায়

গ্রাফিক্স ডিজাইনিংটা আমরা শুরু করি ফটোশপ দিয়ে। অনলাইনে ফটোশপের অসংখ্য টিউটোরিয়াল আছে। কিন্তু এসবের বেশীরভাগ ইংরেজীতে হওয়ায় যারা অপেক্ষাকৃত ইংরেজীতে দুর্বল তারা সহজে আয়ত্বে আনতে পারেনা। কিন্তু সেই সমস্যাটা দূর হচ্ছে। এখন আপনি চাইলে বাংলায় ও এই সফটওয়্যারের টিউটোরিয়াল পেতে পারেন।সবার সুবিধার্থে কাজটি করছে আইটেকবাংলা । যাদের মোটেই ধারণা নেই তারাও শুরু করতে পারেন। নিচের বিষয়গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন। এখানে নিয়মিত যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন টপিক। এছাড়া নিবন্ধিত হয়ে আপনার মতামত জানাতে এবং সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
ফটোশপ শেখার আগে জানুন
গ্রাফিক্সের মোস্ট ওয়ান্টেড টিপস (রঙের ভাষা)

বেসিকস
ফটোশপ বেসিকস: ইন্টারফেস পরিচিতি
ফটোসপ বেসিকস- টুলবক্স পরিচিতি (পর্ব-১)
ফটোসপ বেসিকস- টুলবক্স পরিচিতি (পর্ব-২)
ফটোসপ বেসিকস- টুলবক্স পরিচিতি (পর্ব-৩)
ফটোশপ বেসিকস: নতুন ফাইল খোলা এবং খামখাই ইচ্ছেমত আঁকুন
ফটোশপ বেসিক: নতুন ডকুমেন্ট খোলা
ফটোশপ বেসিকস: ফাইল খোলা এবং নাড়াচাড়া
ফটোসপ বেসিকস: ছবি ক্রপ (কাটাকাটি) করা
ফটোশপ বেসিকস: ছবির পরত (লেয়ার) এবং বিভিন্ন ফরম্যাট
ফটোশপ বেসিকস ৫: লেখা যোগ করা ও লেয়ার ইফেক্ট
photoshop (Width and Height) এবং ইমেজকে কমপ্রেস করা
ফটোশপে তৈরী করতে পারবেন পশু-পাখি বা ফুল আরো অনেক ‍িক
ফটোসপে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড চেইঞ্জ করার কিছু সহজ উপায়


ব্রাশ
ফটোসপেই তৈরি করুন ফটোসপের ব্রাশ!!
ফটোসপের ব্রাশ যেভাবে ইনষ্টল করবেন
ফটোসপের দারুন একটা ব্রাশ!!
ফটোসপের ফাটাফাটি ১০ টি ব্রাশ ডাউনলোড করুন (পর্ব-২)
ফটোসপের ব্রাশ-Dried Blood Splatters (ডাউনলোড)

ইফেক্টস
ফটোসপে গ্লোয়িং ইফেক্ট!!
টেক্সট ইফেক্ট(Cloth Effect)
টেক্সট ইফেক্ট-০২
টেক্সট ইফেক্ট-০৩
টেক্সট ইফেক্ট-০৪(স্মোক ইফেক্ট)
টেক্সট ইফেক্ট-০৫
ফটোশপে সহজ একটা টেক্সট ইফেক্ট
ফটোশপ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন টেক্সক্ট লাইট ইফেক্ট তৈরী
ফটোশপ দিয়ে টেক্সট ইফেক্ট-১০
ফটোসপে ইফেক্ট দিন মাত্র ৩ ধাপে
ফটোসপে ইফেক্ট দিন মাত্র ৫ ধাপে
এক ছবির ইফেক্ট দিন অন্য ছবিতে
25 ESSENTIAL Photoshop MOves

স্টাইল
ফটোশপ styles
ফটোসপে ষ্টাইল ও গ্রিডেন্ট এর ব্যবহারবিধি+ডাউনলোড


ফিল্টারস
ফটোশপে ছবির ইফেক্ট দেওয়া
Cloud Filter(নীল আকাশ তৈরী)
Polar Coordinates-pointillze Filter এর ব্যবহার


প্রজেক্টস
ফটোসপে ছবি কালার করার সহজ উপায়
স্কিনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা(ফটো এডিটিং)
মুখের উপর টেক্চার ইমপোর্ট
ফটোশপে তৈরী করুন ফটো গ্যালারী
পাহাড়ের ভিতর সুর্যাস্ত তৈরি
গ্রহ উপগ্রহ এর ছবি ফটোশপ দিয়ে তৈরি
গ্রহ উপগ্রহের ছবি ফটোসপে তৈরি করুন (পর্ব-২)
গ্রহ উপগ্রহের ছবি ফটোসপে তৈরি করুন (পর্ব-৩)
আইকন তৈরী-০২
আইকন-০৪
ফটোসপে ওয়ালপেপার তৈরি পর্ব-০৪
ফটোসপে ওয়ালপেপার তৈরি-০৫
ফটোশপ দিয়ে ভিসতার ওয়ালপেপার তৈরি-০২
ফটোসপে ভিসতার ওয়ালপেপার তৈরি করুন পর্ব-৪
ফটোসপে ওয়েভ ওয়ালপেপার তৈরি
নিজেই তৈরী করুন নতুন বছরের ই-কার্ড
নতুন বছরে বন্ধু-বান্ধবদের জন্য তৈরী করুন গ্রিটিং কার্ড


ইমেজ রেডি
ভালবাসা জীবন্ত করে তুলুন
গ্লিটার টেক্সট অ্যানিমেশন

অন্যান্য
ছবির ফোল্ডার
ফটোশপ শর্টকার্ট
ফটোশপের জন্য ডিজাইন ফন্ট
প্রফেশনাল কাজের জন্য প্রফেশনাল ফন্ট
ফটোশপ ডিজাইনিং এর জন্য 9480 ফন্ট
ফ্রিতে একটা ফটোশপ! Photofiltre (free)

ফটোশপ শেখার আগে জানুন
রং আল্লাহতায়ালার এক অপার সৃষ্টি। এই মহাবিশ্বের যেদিকেই তাকান না কেন, চারদিকে দেখবেন শুধু রঙের খেলা। চন্দ্র-সূর্য, আকাশ-মাটি, গ্রহ-নক্ষত্র, ফুল-ফল, নদী-নালা, পাহাড়-পর্বত যেদিকেই তাকান রঙের অকল্পনীয় শৈল্পিক ব্যবহার বারবার আপনার চোখে ধরা দিতে থাকবে। রঙের জগত হচ্ছে এক অবাক করা মায়াবী জগত। গ্রাফিক্স ডিজাইনারের যতগুলো অপর নাম আছে তার একটি হলো কালার স্পেশালিস্ট। অর্থাৎ গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আরেক নাম রং বিশেষজ্ঞ। রঙের মাত্রাজ্ঞান, তার যত মহিমা-বৈশিষ্ট্য, এর প্রয়োগ কলাকৌশল, রঙের ভাষা, রঙের ক্ষমতা ইত্যাদি সম্পর্কে যিনি যত বেশি জানেন অর্থাৎ যিনি যত বেশি অভিজ্ঞ, তিনি তত বড় ডিজাইনার।
প্রতিটি মৌলিক রঙেরই এক একটি বৈশিষ্ট্য আছে। রং ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নিজেদের অজান্তেই আমাদের রুচি, অনুভূতি, দৃষ্টিভঙ্গি, সরলতা ইত্যাদি প্রকাশ করে থাকি। তাই যেকোনো ডিজাইনেই রঙের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। রঙের ভাষা কি? কেমন? কিভাবে প্রকাশ করা হয়? আসুন এ ব্যপার গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক...
রঙের বিভিন্ন রকম পরিচিতি আছে, লাল রং আপনাকে থেমে যাওয়ার নির্দেশ দেয় আর সবুজ রং আপনাকে এগিয়ে যেতে বলে। ঠিক তেমনি হলুদ রং আপনাকে অপেক্ষা করার আবেদন জানায়। কালো রং শোক প্রকাশ করে আবার সাদা রং সরলতার প্রতীক। একটি রং যখন আরেকটি রঙের সাথে মিলিত হয় তখন একটি অপরটির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। ছবিতে দেখুন একই রং অন্যান্য রঙের সংস্পর্শে এসে কিরকম প্রভাবিত হয়েছে...
রঙের যথাযথ ব্যবহার আপনার পণ্যের বিক্রি বাড়িয়ে দেবে বহুগুন, ঠিক তেমনি ভুল রঙের ব্যবহার আপনার পণ্যকে নিমিষেই ফ্লপ করিয়ে দিতে পারে। আপনি রঙের মানানসই প্রয়োগ দেখতে বিশ্বের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোতে ঢুঁ মারতে পারেন। সেখানে দেখতে পাবেন কিভাবে রঙের সামঞ্জস্য করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এক রঙের ব্যবহার দেখা যায়, কারন একটি ডিজাইনে একই রঙের বিভিন্ন মাত্রা ব্যবহার করে দেখা গেছে যে খুব সহজেই ফাটিয়ে দেয়া যায়।
জমকালো রং মানেই উৎকৃষ্ট ডিজাইন নয়। বরং এর বিপরীত টাই উৎকৃষ্ট ডিজাইন। হ্যাঁ, অনেক সময় দেখা গেছে যে ডিজাইনের প্রয়োজনেই (যেমন রঙের ডিব্বা কোম্পানির বিজ্ঞাপন, রঙে রঙে রাঙিয়ে দিলাম টাইপের বিজ্ঞাপন) জমকালো রং ব্যবহার করতে হয়। সেক্ষেত্রে রং সম্বন্ধে, রঙের ব্যবহার সম্বন্ধে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা না থাকলে ডিজাইনের শ্রেষ্ঠত্ব বিনষ্ট হতে বাধ্য।
ব্যাকগ্রাউন্ডে এক কালার রং ব্যবহার করার যুগ এখন প্রায় অতীত। দুই রং বা তিন রঙের গ্রেডিয়েন্ট (একটি রং হালকা হতে হতে এক সময় মিশে যায় এবং ঠিক একই ভাবে আরো এক বা একাধিক রং হালকা থেকে গাঢ়তর হয়ে ফুটে ওঠে) ব্যবহারের মাধ্যমে আকর্ষনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করা সম্ভব। তবে হ্যা, ব্যাকগ্রাউন্ডে যদি এক রঙের প্রয়োগ ঘটান তাহলে, যে রং টি ব্যবহার করছেন ঐ একই রঙের বিভিন্ন মাত্রাসহ ব্যবহার আপনার ডিজাইন কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ডের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবে বহুগুন। রঙের মাত্রা সম্পর্কে এবার একটু আলোচনা করা যাক...
সাদা, কালো এবং ধূসর রং দিয়ে আমি ব্যাপারটা সহজ করে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
এখানে পিউর হোয়াইট এবং পিউর ব্ল্যাক এর মধ্যে যতগুলো রং দেখছেন সবগুলো হচ্ছে ধূসর বা গ্রে কালারের বিভিন্ন মাত্রা। আবার পিউর হোয়াইট থেকে ৪০% গ্রে পর্যন্ত যতগুলো রং বিদ্যমান সেগুলোকে আপনি সাদা রঙের বিভিন্ন মাত্রাও বলতে পারেন। কালো রঙের মাত্রাও তেমনি ৬০% গ্রে থেকে পিউর ব্ল্যাক পর্যন্ত। আর ৫০% গ্রে কালারটিকে পিউর গ্রে কালারও বলতে পারেন। এভাবে লাল, নীল, সবুজ, হলুদ সব রকম রঙেরই বিভিন্ন মাত্রা আছে।
হ্যাঁ, রঙের ক্ষমতা সম্পর্কে আরো কিছু বলা যাক...
রং আপনার চোখে ও অন্তরে প্রশান্তি এনে দিতে পারে, আবার আপনার চোখে জ্বালা ধরিয়ে দিতেও রঙের জুড়ি নেই। রং আপনার মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারে। আপনার মনে উত্তেজনার ঝড় বইয়ে দিতে রঙের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিছু কিছু রং আছে একজন আরেকজনকে সহ্য করতে পারেনা। মানে এদের সহাবস্হান ততটা সুখকর নয়।
অনেক হয়েছে, এবার প্রচলিত কয়েকটি রং সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করে এই লেখার ইতি টানা যাক।
নীলঃ নীল একটি ঠান্ডা রং। সাধারনত শান্তি, স্নিগ্ধতা, আবেগ-অনুভূতি, সম্প্রীতি, কোমলতা ইত্যাদি বুঝাতে নীল রং ব্যবহার করা হয়। খুব সিম্পল টাইপের ডিজাইনে নীল রঙের ব্যবহার বেশি হলেও অ্যাবস্ট্রাক্ট টাইপের ডিজাইনে স্পিড আনতে নীল রঙের জুড়ি নেই। নীলের সাথে সাদা, কালো বা গ্রে ভালো মানায়। ঠিক তেমনি গোধূলির মত কমলা বা গোলাপী রং নীলের সাথে ব্যবহার করলে ফলাফল তেমন একটা ভালো হয়না।
লালঃ লাল একটি চোখ ধাঁধানো তীব্র রং। সাধারনত ডিজাইনে বিষয়বস্তুর তীব্রতা বোঝাতে এর ব্যবহার দেখা যায়। স্পিড, এডভেঞ্চার, ভায়োলেন্স, এক্সাইটিং ইত্যাদি ভাব প্রকাশার্থে লাল রং আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে। তবে ডিজাইনে লালের ব্যবহার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা ভালো। আর সেই সাথে লাল-সবুজ, লাল-হলুদ, লাল-বেগুনি ইত্যাদি ডিজাইনে ব্যবহার করা অনুচিত। কারন এদের সহাবস্হান ভালো ফলাফল দেয়না।
বেগুনিঃ আধ্যাত্মিকতা, আভিজাত্য বিশেষ করে রাজকীয় ডিজাইনে বেগুনির ব্যবহার ভালো ফল দেয়। ধর্মীয় ডিজাইনে এর ব্যবহার বেশি। ব্যাকগ্রাউন্ড কালার হিসেবেও বেগুনি দারুন কাজ করে।
সবুজঃ প্রানচাঞ্চল্য, সজীবতা, নিসর্গ, আন্তরিকতা ইত্যাদি বুঝাতে সবুজ রং ব্যবহার করা হয়। সবুজের সাথে বাংলাদেশের প্রকৃতির যথেষ্ট সখ্যতা আছে। সবুজের সাথে একমাত্র লালের ব্যবহারেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
হলুদঃ হলুদ রং সাধারনত প্রফুল্লতা, সাহস ইত্যাদি বুঝাতে ব্যবহার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টেক্সটকে হাইলাইট করতে ডার্ক ব্যাকগ্রাউন্ডে হলুদ রঙের টেক্সট ব্যবহার করা হয়।
গোলাপিঃ গোলাপি রং রমণীয়, কমনীয় আর রূপ লাবণ্যের প্রতীক। ডিজাইনে সৌন্দর্য বাড়াতে কিংবা আনকমন একটা ভাব আনতে এর ব্যবহার দেখা যায়। তবে এর বাড়াবাড়ি রকমের ব্যবহার আপনার ডিজাইনকে নষ্ট করে দেবে।
কমলাঃ ন্যাচারাল ডিজাইন ছাড়া কমলার ব্যবহার তেমন একটা দেখা যায় না। অথচ হালকা পরিমানে কমলার ব্যবহার আপনার ডিজাইনকে আনকমন ও গুডলুকিং করে তোলে।
ধূসরঃ সাদাকালো ডিজাইনের ক্ষেত্রে গ্রে কালারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অবশ্য গ্রে নিজেই সাদাকালো রঙের মধ্যে পড়ে। রঙিন ফটোগ্রাফ থেকে সমস্ত রং শুষে নেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই সাদাকালো ইফেক্ট দেওয়া যায়, সেক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় যে সাদাকালো ইফেক্ট তেমন মানানসই হয়নি। এমতাবস্হায় গ্রে কালার ব্যবহারের মাধ্যমে সাদাকালো ইফেক্টকে আকর্ষনীয় করে তোলা যায়।
সাদাঃ এটি একটি নিরীহ টাইপের রং। সাধারনত সরলতা, শক্তি আর তারুন্যের প্রতীক এই সাদা রং। আপনার ডিজাইনে ঝকঝকে, তকতকে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাব আনতে এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
কালোঃ এটি সর্বাধিক রঙের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত একটি রং। কালো রং সাধারনত শোক প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি এর ভেতর রহস্যময়তা ও খান্দানি ভাব আছে। কালোর সাথে যেকোনো রং মানায়। আপনার ডিজাইনে গাম্ভীর্য টাইপের ভাব প্রকাশেও এটি অনন্য। ব্যাকগ্রাউন্ডের ক্ষেত্রে এক কালার কালো ব্যবহার না করে কালোর বিভিন্ন মাত্রাসহ ব্যবহার কিংবা কালোর সাথে অন্য কোনো রঙের গ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করলে অত্যন্ত ভালো ফল পাওয়া যায়।
বিঃ দ্রঃ এত বড় টিউটোরিয়াল কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এখানে অসংখ্য ভুল থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে দয়া করে এই অধমকে গালাগালি না করে নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন। লিখতে লিখতে তো জান কয়লা হয়ে গেছে। কিবোর্ডের কী ও দুয়েকটা নষ্ট হয়ে গেছে (মনে হয়)।
আমার ফ্যান পেজ

সোমবার, ৩০ মে, ২০১১

শহীদ জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি




শহীদ জিয়ার শাহাদাত দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গিয়ে যে কথাটি সর্বাগ্রে মনে আসে তা হচ্ছে, একজন সফল ও স্মরণ্য রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অল্প সময়েই তাঁর প্রতিষ্ঠা। নতুন স্বাধীনতা পাওয়া দরিদ্র ও অনগ্রসর একটি দেশ, যা ছিল রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় দোদুল্যমান—তাতে স্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে, একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোতে স্থাপন করে, দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের ভিত্তি সুদৃঢ় করে উন্নয়নের রাজপথে চলমান করিয়ে দেওয়ার বিরল কৃতিত্বের বিতর্কাতীত অধিকারী শহীদ জিয়াউর রহমান। ভাবলে অবাক হতে হয়, রাজনীতিতে সেই সময় অনভিজ্ঞ এক তরুণ কর্মকর্তা কী অদম্য সাহস, অপরাজেয় মনোবল এবং অসীম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ইতিহাসের এক ক্রান্তিলগ্নে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতির দিকনির্দেশনা স্থির করে দেন। ঘোষণা-উত্তর স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে সফল সেক্টর কমান্ডার হিসেবে সম্মুখসমরে অংশ নিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আনতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। আবার সফল মুক্তিসংগ্রাম-উত্তরকালে মধ্য-সত্তরের চরম অস্থির এক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে কান্ডারি হয়ে জাতিকে বিপর্যয়ের মুখ থেকে রক্ষা করেন এবং সার্বভৌমত্ব, জাতীয়তাবাদ ও উন্নয়নের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে জাতির অস্তিত্ব ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করেন।
জিয়ার নেতৃত্বের প্রথম দিকেই ১৯৭৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর ভারতের তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি সঞ্জীব রেড্ডি রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় প্রেসিডেন্ট জিয়ার কৃতিত্ব ও সম্ভাবনা সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত প্রশংসাবাণী উচ্চারণ করতে গিয়ে এক ঐতিহাসিক সত্য তুলে ধরেন, ‘Your position is already assured in the annals and the history of your country as a brave freedom fighter who was the first to declare the independence of Bangladesh.’ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর জুনের প্রথম সপ্তাহে লন্ডনে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট আয়োজিত এক শোকসভায় তদানীন্তন কমনওয়েলথ মহাসচিব স্যার শ্রীধাত রামফাল যথার্থ উক্তি করেছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়া বাংলাদেশে শুধু যে একদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা নয়, এই উন্নয়নকামী দেশকে সার্বিক উন্নয়নের রাজপথে পরিচালিত করেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সার্কের মাধ্যমে ঐক্যবন্ধনে গ্রথিত করা তাঁর এক স্বপ্ন। তাঁর অকালমৃত্যুতে তাঁর দেশ এক নিপুণ সংগঠক ও সফল রাষ্ট্রনায়ককে শুধু হারাল না, দক্ষিণ এশিয়া হারাল এক দূরদর্শী ও স্বাপ্নিক, উন্নয়নশীল জগৎ হারাল এক মহান নেতা, কমনওয়েলথ হারাল সৌভ্রাতৃত্বে বিশ্বাসী আস্থা সৃষ্টিকারী এক অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্বকে।’
জিয়ার স্মৃতিতর্পণ প্রসঙ্গে আরেকটি ঘটনা মনে পড়ছে। আমি তখন জেদ্দার ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) অপারেশনসের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট। ব্যাংকের পঞ্চাশোর্ধ্ব সদস্যদেশের মধ্যে একটি দেশ আফ্রিকার মালি। কর্তব্য নিবন্ধনে গিয়েছিলাম রাজধানী বামাকো। অনুসঙ্গী ছিলেন ব্যাংকের দু-তিনজন কর্মকর্তা। মনে পড়ছে যাঁর মধ্যে ছিলেন তরুণ অর্থনীতি-বিশ্লেষক আবদুল্লাহ গুল, বর্তমানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট, যিনি গত বছর রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছিলেন। মালির সরকারি নেতাদের সঙ্গে ব্যাংকের সহায়তা পাওয়া কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা-অন্তে দেশের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট কোনারে বললেন, ‘জেনে খুশি হলাম, আপনি বাংলাদেশের। ওই দেশের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। উন্নয়নকামী দেশগুলোর অগ্রগতির জন্য তিনি এক উল্লেখযোগ্য নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর তিরোধানে এলডিসি দেশগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তারা হারিয়েছে এক অন্যতম যোগ্য নেতা।’
অবাক বিস্ময়ে শুনছিলাম এক প্রয়াত প্রেসিডেন্টের প্রতি আরেক দেশের এক ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের শোকাপ্লুত শ্রদ্ধা নিবেদন। বহু বছর ব্যবধানে এক বহু দূর দেশে। প্রেসিডেন্ট কোনারে আরও বললেন, ‘তাঁর স্মৃতিতে রাজধানীর একটি প্রধান সড়কের নামকরণ করেছি আমরা। ইচ্ছে করলে আপনি গিয়ে দেখে আসতে পারেন।’ তাঁরই নির্দেশনায় প্রটোকলের কর্মকর্তা সমভিব্যাহারে গিয়ে দেখলাম, শহরের প্রশস্ততম রাজপথ কিং ফাহদ সরণির অব্যবহিত পরেই এভিনিউ জিয়াউর রহমান। দুদিকে বৃক্ষশ্রেণীর মধ্যে প্রসারিত দীর্ঘ প্রশস্ত রাজপথ। মনে পড়ল, তুরস্কে দেখেছিলাম জিয়ার স্মরণে আরেকটি সরণি। জান্নাতবাসী জিয়া ওই সেদিন ওই সুদূরে ভ্রমণকারী এক বাঙালির হূদয় গর্বে ভরে দিয়েছিলেন। গিনির প্রেসিডেন্ট সি কো তুরে, ফিলিস্তিনের নেতা ইয়াসির আরাফাত, ভুটানের রাজা ওয়াংচুক—আরও বহু এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের নেতাদের কাছে শুনেছি বহু বছরের ব্যবধানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া সম্পর্কে শোক ও শ্রদ্ধামিশ্রিত প্রশস্তি। রাষ্ট্রাচারের প্রয়োজনতাড়িত গতানুগতিক উক্তি নয়, অন্তরের অন্তস্তল থেকে উৎসারিত আবেগঘন শ্রদ্ধা নিবেদন। সবার মনে, দেশে ও বিদেশে ক্ষমতাধরদের মধ্যে ও সাধারণ্যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া যে এক পরম সম্মানের আসন চিরকালের জন্য দখল করে আছেন, তা কিসের জন্য? কিসের জোরে? এর মধ্যে তো কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, নেই রাষ্ট্রাচারের অলঙ্ঘনীয় নির্দেশ, নেই দ্বিপক্ষীয় প্রশস্তি বিনিময়ের রীতিনীতি। এর কারণ হচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিগৃহীত, বঞ্চিত ও দুর্বল দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যবন্ধন সৃষ্টি করে তাদের ন্যায্য দাবি আদায়। ‘সার্ক’-এর সৃষ্টি, আল আকসা কমিটির আলোচনা, এলডিসি দেশগুলোর স্বার্থরক্ষা—এসব বিষয়ে তাঁর নেতৃস্থানীয় বলিষ্ঠ অগ্রণী ভূমিকা পালন। আরও রয়েছে দেশের মধ্যে জাতির বিভিন্ন জটিল সমস্যা সমাধান, জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি, জাতীয়তাবাদের ভিত্তি রচনা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, দুরাচারমুক্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, সর্বোপরি ব্যক্তিগত জীবনে প্রশ্নাতীতভাবে উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করে সব ধরনের দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ—এসব ক্ষেত্রে শহীদ জিয়ার অবিস্মরণীয় ভূমিকা ও নেতৃত্ব, তাঁর অনমনীয় মনোবল, সৎ, সাধু ও নিঃস্বার্থ আচার-ব্যবহার, তাঁর সুদূরপ্রসারী চিন্তা-পরিকল্পনা, তাঁর অতুলনীয় আপসহীন দেশপ্রেম, অতি অল্প সময়ের মধ্যে এক বিভ্রান্ত, হতাশাগ্রস্ত জাতিকে যেন তিনি একটি জীয়নকাঠির মায়াবি ছোঁয়ায় আত্মবিশ্বাসী, প্রাণবন্ত ও সক্রিয় করে তুলেছিলেন।
বর্তমানে দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, রাজনৈতিক স্বার্থজনিত কারণে ক্ষমতায় আরোহণের প্রক্রিয়া নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে তাঁর চরিত্র হরণের অসাধু কিন্তু নিষ্ফল প্রচেষ্টা হচ্ছে। অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস ৭ নভেম্বরের বর্ণনা দিয়েছেন (বাংলাদেশ: এ লিগ্যাসি অব ব্লাড, অনুবাদ পৃ. ১২২) এভাবে, ‘উল্লসিত কিছু সৈনিক আর বেসামরিক লোক নিয়ে কতগুলো ট্যাংক ঢাকা শহরের মধ্যবর্তী এলাকায় চলাচল করতে দেখা যায়। এবার এই ট্যাংক দেখে লোকজন ভয়ে পালিয়ে না গিয়ে ট্যাংকের সৈনিকদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে রাস্তায় নেমে আসে এবং উল্লাসে ফেটে পড়ে। চার দিন ধরে তারা মনে করেছিল যে, খালেদ মোশাররফকে দিয়ে ভারত তাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা খর্ব করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এতক্ষণে তাদের দুঃস্বপ্ন কেটে গেল। সর্বত্রই জোয়ান আর সাধারণ মানুষ খুশিতে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি শুরু করে। রাস্তায় নেমে তারা রাতভর স্লোগান দিতে থাকে—বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, সিপাহি বিপ্লব জিন্দাবাদ, জেনারেল জিয়া জিন্দাবাদ ইত্যাদি। অবস্থা দেখে মনে হয়েছিল, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের গণজাগরণের মতো জনগণ আবার জেগে উঠেছে। এটা ছিল সত্যিই এক স্মরণীয় রাত।’
এই অভ্যুত্থানকারী সৈনিক-জনতাই বন্দিদশা থেকে জিয়াকে মুক্ত করে। এর আগে স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাকের জারি করা আইনের ধারাবাহিকতায় খালেদ মোশাররফ প্রশাসনে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিচারপতি সায়েম দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বর। সেনাপ্রধান জিয়া তখন খালেদের হাতে বন্দী। ১৯৭৭ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ও সিএমএলের দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি সায়েম। এ ঘটনাগুলোতে পরিষ্কারই দেখা যাচ্ছে জিয়া ‘ক্যু’ করে ক্ষমতায় আসেননি। তিনি দেশে সামরিক শাসন জারি করেননি। স্পষ্টতই প্রতীয়মান হচ্ছে, বাংলাদেশে একদলীয় শাসন এবং সামরিক আইন কোনোটিরই প্রবর্তক জিয়া ছিলেন না, ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। জিয়া পরবর্তী সময়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিরই প্রবর্তন করেন।
জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে তাঁর নীতিনির্দেশক কথাগুলো (যা তাঁর তথ্য উপদেষ্টা দাউদ খান মজলিশের মাধ্যমে ১৯৮১ সালে দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত হয়) স্মরণ করি, ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শন শত শত বর্ষ ধরে এ দেশের আপামর জনগণের অন্তরে চিরজাগরূক রয়েছে। যুগ যুগান্তরের দেশপ্রেমিকদের হূদয়ের মর্মমূলে নিহিত তাদের সর্ব উৎসাহ, উদ্যোগ ও প্রেরণার উৎস এই দর্শন। এতে নিহিত রয়েছে বাস্তব আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচী, যা দেশের ঐক্যবদ্ধ জনগণকে সমকালীন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির উপযোগী বাস্তবমুখী ও সময়োচিত শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের কর্মসূচি বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করবে, জাতিকে সুনিশ্চিতভাবে অগ্রগতির ও সমৃদ্ধির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেবে এবং বিশ্বজাতির দরবারে বাংলাদেশকে মর্যাদা ও গুরুত্বের আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে।
‘...আমাদের মূল লক্ষ্য তথা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিমূলে রয়েছে যে শোষণমুক্ত সমাজের স্বপ্ন, তাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে পরিকল্পিত পদ্ধতিতে জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে। শোষণমুক্ত সমাজ বলতে মূলত বোঝায় ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে সব মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান ও পরিবার পরিকল্পনার মৌলিক চাহিদা পূরণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।...একথা স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে একটি শোষণমুক্ত সমাজ, যা হবে অত্যন্ত বাস্তব প্রগতিশীল একটি সমাজ, যাতে থাকবে সমতা, নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচার।’
আজকের এই অনিশ্চয়তার দিনে জাতির জন্য আশা উদ্দীপক অনুপ্রেরণার বাণী আর কী হতে পারে?
ইনাম আহমদ চৌধুরী: বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।

রবিবার, ২৯ মে, ২০১১

Shabnur A Bangladeshi Actress


বাংলা ছবির জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের বাড়ি নোয়াখালী! যারা এ কথা বিশ্বাস করছেন না তাদের জন্য বলার শুধু এটুকুই- পি এ কাজলের ‘পিরীতের দোকানদারী’ ছবিটি বেরুনোর পর হলে গিয়ে দেখুন- চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে। কারণ গড়গড় করে নোয়াখালীর মানুষের মতো করে কথা বলবেন এই জনপ্রিয় নায়িকা!
ছবির প্রয়োজনে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে শাবনূর গ্লিটজকে বলেন, “নোয়াখালীর মানুষের মুখের ভাষাটা অনেক মজার। আর এটা বাকী অঞ্চলের চেয়ে আলাদা তো বটেই। ফলে এই ভাষায় অভিনয় করতে গিয়ে প্রথমে একটু সমস্যা হলেও পরে খুব মজা পেয়েছি।”
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর ভাষায় কথা বলার জন্য তাকে স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিতে হয়েছে। আর শুটিং ইউনিটের বেশিরভাগ মানুষ নোয়াখালীর হওয়ায় তার বেশ উপকার হয়েছে ভাষাটি আয়ত্ব করার ক্ষেত্রে।
‘পিরিতির দোকানদারী’ ছবিতে শাবনূরের নায়ক নবাগত আমান খান।
ছবিতে আরো অভিনয় করেছেন- রাজ্জাক, বিন্দু, ইমন, দিঘী সহ অনেকে।
ছবিটি প্রযোজনা করছেন নিশা তাসনিম শেখ। পরিবেশনায় রয়েছে ‘ঋদ্ধি টকিজ’।
এর আগে বরিশাল এবং ঢাকার আঞ্চলিক ভাষায় তাকে কথা বলতে দেখা গেছে ছবির পর্দায় শাবনূরকে।

বলিউড তারকায় মুখর কান চলচ্চিত্র উৎসব


১১ই মে থেকে শুরু হয়ে বিশ্বের নন্দিত তারকাদের পদচারণায় ইতিমধ্যে মুখর হয়ে উঠেছে ৬৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবস্থল।
উৎসবে হলিউড তারকাদের বাইরে এবার বলিউড তারকাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। ১১ থেকে ২২শে মে পর্যন্ত এবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বলিউড তারকা কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে উৎসবে যোগ দিয়েছেন বলিউড পেরিয়ে হলিউডেও অবস্থান করে নেয়া ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং মল্লিকা সারাওয়াত।
১১ই মে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেড কার্পেটে হাঁটার মধ্যে দিয়ে এই উৎসবে যোগ দেন সর্বপ্রথম ঐশ্বর্য রাই। গত আসরেও এই উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন সাবেক এ বিশ্ব সুন্দরী। হলিউডের আদলে একটি গাউন পড়ে এবারের উৎসবে যোগ দিয়ে মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবার নজরই কেড়েছেন ঐশ্বর্য।
মিডিয়ার কাছে তিনি এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবটি এক কথায় ‘অসাধারণ’ বলে উল্লেখ করেন। ঐশ্বর্য’র মতোই হলিউডের তিনটি ছবিতে কাজ করা মল্লিকা টানা তৃতীয়বারের মতো এবারও যোগ দেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে।

হামিদ মীর : সাহসী সাংবাদিকতার প্রতীক




হামিদ মীর। শুধু একটা নাম নয়, অকুতোভয় সাহসী সাংবাদিকতার প্রতীক। তিনি সাংবাদিক, সংবাদ উপস্থাপক, সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ ও নিরাপত্তা বিশেস্নষক। জন্ম পাকিসত্মানের লাহোরে ১৯৬৬ সালের ২৩ জুলাই। বড় হয়েছেন সাহিত্যিক পরিম-লে। পড়াশুনাও করেছেন সাংবাদিকতা নিয়েই। ১৯৮৯ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ (mass communication) বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবন
সাংবাদিক হওয়াটা যেন নিয়তি ছিল হামিদ মীরের জন্য। কলামিস্ট বাবা অধ্যাপক ওয়ারিস মিরের আকস্মিক মৃত্যু তাকে টেনে নিয়ে আসে সাংবাদিকতার জগতে। মাত্র ২১ বছর বয়সে (১৯৮৭ সালে) যোগ দেন দৈনিক জং পত্রিকায়। সাথে ছিল বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া অকুতোভয় সাহস। তৎকালীন সেনা শাসক জেনারেল জিয়াউল হকের কড়া সমালোচক ছিলেন ওয়ারিস মীর। ধারণা করা হয় তার কণ্ঠ সত্মব্ধ করতে বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয় তাকে। বাবার মতোই দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনে হামিদ মীরকেও সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। শাসকরা সমালোচনাকে ভয় পান। এই সত্য প্রমাণ করে সেনা শাসক পারভেজ মোশাররফ তো বটেই, বেনজির ভুট্টোর গণতান্ত্রিক শাসনামলেও সত্য প্রকাশের দায়ে চাকরি গেছে তার।
১৯৯৪ সালে অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে নজরে আসেন তিনি। প্রকাশ করেন ডুবো জাহাজ কেলেঙ্কারির গোপন তথ্য। ওই কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো’র স্বামী বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সরকারের রোষানলে পড়ে সংবাদটি প্রকাশের পরপরই চারকি হারান মীর। উঠে আসেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সেইসাথে তার সাহসিকতা প্রথম পরিচয় পায় পাকিসত্মানের মানুষ।
মীর ১৯৯৬ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিসত্মানের সম্পাদক হিসেবে। এর মধ্য দিয়ে পাকিসত্মানের কোনো উর্দু ভাষার দৈনিক সবচেয়ে কম বয়সী সম্পাদক হয়ে ইতিহাস গড়েন তিনি। কিন্তু তার অদম্য সাহসের পুরস্কার হিসেবে আবারও চাকরি হারালেন তিনি। অপরাধ, সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দুর্নীতি সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশ।
একই বছর ১৯৯৭ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে প্রকাশ করেন দৈনিক আউসাফ। চলতে থাকে তার কলম। সেইসাথে চলে তার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। খবর প্রকাশের ÿুধায় মৃত্যু ভয়কে পরোয়া না করে চষে বেড়ান আফগানিসত্মানের পূর্বাঞ্চল। আবিস্কার করেন ২০০১ সালের ডিসেম্বরে তোরাবোরা পাহাড় থেকে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের পলানোর তথ্য। বিন লাদের যে গুহায় পালিয়ে ছিলেন তাও ঘুরে দেখেছেন এই সাহসী সাংবাদিক।
এরপর ২০০২ সালে যোগ দেন পাকিসত্মানের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংবাদভিত্তিক চ্যানেল জিও টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চলীয় সম্পাদক হিসেবে। শুরম্ন করেন রাজনৈতিক টক শো ক্যাপিটাল টক। তুমুল জনপ্রিয় হয় অনুষ্ঠানটি। পাকিসত্মানের রাজনীতিকরা তো বটেই তার অনুষ্ঠানে এসেছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিৎসা রাইস, সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি বেস্নয়ার, ভারতের বিজেপি নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানিসহ আরো অনেকে।
মীর শুধু যে দেশের ভেতরেই হয়রানির শিকার হয়েছেন তা নয়, বিদেশের মাটিতে হয়েছেন নাজেহাল। ২০০৬ সালে ইসরাইল-লেবানন যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হিজবুলস্নাহ’র হাতে গ্রেফতার হন তিনি। হিজবুলস্নাহ’র সন্দেহ ছিল-ইসরাইলের চর হিসেবে কাজ করছেন তিনি। কিন্তু এ সম্পর্কে কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় পরে তাকে ছেড়ে দেয় হিজবুলস্নাহ। পরের বছর দেশের মাটিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইফতেখার মুহাম্মদ চৌধুরীর বরখাসেত্মর প্রতিবাদে আইনজীবীদের বিÿÿাভ সরাসরি সম্প্রচার করে মুশাররফ সরকারের রোষানলে পড়েন তিনি। নিষিদ্ধ হন চার মাসের জন্য। প্রতিবাদের রাসত্মায় নামেন তিনি। পরিণত হন আমত্মর্জাতিক ব্যক্তিত্বে। তাকে নিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করে ওয়াশিংটন পোস্টসহ বিখ্যাত সব পশ্চিমা গণমাধ্যম। ২০০৮ সালে পাকিসত্মান পিপলস পার্টিও কয়েক দিনের জন্য নিষিদ্ধ করে তাকে। মুম্বাই হামলার পর শামিত্ম ও বস্ত্তনিষ্ঠ সাংবাদিকতরা মূখপাত্রে পরিণত হন তিনি।
কাজ, পুরস্কার ও স্বীকৃতি
· সেরা কলাম লেখক হিসেবে ১৯৯৬, ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে অর্জন করেন অল পাকিসত্মান নিউজ পেপারস সোসাইটি পুরস্কার।
· নারী স্বাধীনতা নিয়ে লেখার জন্য মহিলা মন্ত্রণালয় থেকে পান ফাতিমা জিন্নাহ স্বর্ণ পদক।
· ১৯৯৭ সালে তিনি দৈনিক পাকিসত্মানের জন্য ও ১৯৯৮ সালে দৈনিক আওসাফের জন্য ওসামা বিন লাদেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।
· ২০০১ সালে দৈনিক ডনের পক্ষ থেকে তিনি উসামা বিন লাদেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করন। এটি ছিল ৯/১১ এর পর ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে কোনো সাংবাদিকের প্রথম সাক্ষাৎকার।
· বিবিসি ও সিএনএন এই সাক্ষাৎকারটিকে আমত্মর্জাতিক বিস্ফোরণ হিসেবে আখ্যা দেয়। মাসিক হেরাল্ড ২০০১ এর ডিসেম্বরের বিশেষ সংখ্যায় এ সাক্ষাৎকারটিকে বছরের সেরা বিস্ফোরণ হিসেবে চিহ্নিত করে।
২০০৫ সালের অক্টোবরে কাশ্মিরের ভূমিকম্পের ওপর সংবাদ সংগ্রহের জন্য মার্কিন সংবাদপত্র ‘ক্রিশ্চান সাইন্স মনিটর’ হামিদ মীরকে পাকিসত্মানি জনগণের নায়ক রূপে ঘোষণা করে।
২৬শে মার্চ ২০১০ সালে সার্কের আজীবন সম্মাননার জন্য মনোনীত হন হামিদ মীর।
সমালোচনা
তালেবানদের সমর্থক বলে মীরের বিরম্নদ্ধে অভিযোগ তুলেছে অনেকে। আবার তালেবানরা সিআইয়ের এজেন্ট বলে সন্দেহ করে তাকে। তিনি পশ্চিমাদের এজেন্ডা প্রচার করেন করেন বলেও মনে করেন অনেক বিশেস্নষক। অনেকে আবার উল্টো কথাও বলেন। মার্কিন চালকবিহীন বিমান হামলা নিয়ে সদা সোচ্চার মীরকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি একটু বেশিই কঠোর বলে মনে করেন তারা। আবার মীরকে ভারতের চর বলেও মনে করেন কেউ কেউ ।
সরকারের সাথে বিরোধ
তার সাংবাদিকতার জীবনের প্রায় পুরো সময়টাই নানা বিষয় নিয়ে পাকিসত্মান সরকারের সাথে বিরোধে জড়িয়েছেন মীর।
· ২০০৫ সালের অক্টোবরে পাকিসত্মান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ভূমিকম্পের খবর সংগ্রহ করতে যান তিনি। কাশ্মিরে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি আছে বলে দাবি করেন তিনি। তাকে নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয় মুশাররফ সরকার।
· একই বছর তালেবানদের সাথে সেনাবাহিনীর তথাকথিত শামিত্ম চুক্তির বিরোধিতা করে স্বৈরশাসকের ক্রোধানলে পড়েন মীর।

· পরের বছর ২০০৬ সালে মার্কিন চালকবিহীন বিমান হামলার পর উপজাতি অধ্যুষিত বাজুর এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। প্রমাণ করেন, মার্কিন ÿÿপনাস্ত্র শুধু শিশু ও নারীদেরকেই হত্যা করে, আল-কায়েদা যোদ্ধাদের নয়।

· ২০০৭ সাল- তালেবানদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে তার প্রতি অভিযোগ তোলে মুশাররফ সরকার ।





পাকিসত্মানের উত্তরাঞ্চলীয় সম্পাদক হিসেবে ২০০২ সালে যোগ দিয়েছিলেন জিও টিলিভিশনে। মাত্র ৮ বছরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন চ্যানেলটির নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি এখন ব্যসত্ম বই লেখার কাজে।

যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য কম: বাণিজ্যমন্ত্রী



দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য আবারো আন্তর্জাতিক বাজারকে দায়ী করে বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল অব. ফারুক খান বলেছেন, পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে আমাদের দেশে জিনিসপত্রের দাম অনেক কম। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
রোববার সন্ধায় কাফরুল থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘‘আগামী বাজেটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে। বিশেষ করে আগামী রমজানে যেন দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নিয়ন্ত্রণে থাকে সে চেষ্টাই করা হবে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সাথেও কথা হয়েছে। এবারের বাজেট এমন ভাবে করা হবে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে।’’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নারীনীতির পক্ষে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
বিরোধীদলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী মধ্যবর্তী নির্বাচন দাবি করে বাংলাদেশের মানুষের মাথা ভুলন্ঠিত করেছে। যখনই বিএনপি বিরোধী দলে যায় তার (খালেদা জিয়া) ও তার নেতাদের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশে মানুষের মাথা ভূলুণ্ঠিত হয়। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশ হয় দুর্নীতির দেশ, জঙ্গীবাদের দেশ।’’
কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল মোস্তফার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সহ সভাপতি মুকুল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, স্থানীয় এম পি কামাল আহমেদ মজুমদার, নগর নেতা আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আব্দুল হক সবুজ ও শহীদুল ইসলাম মিলন।
কীভাবে দেশের ক্ষতি করতে হয় তার নমুনা খালেদা জিয়ার বিদেশ সফর উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুব উল-আলম-হানিফ বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া কী কর্মসূচি নিয়ে বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন তা জনগণ জানতে চায়।’’
আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমে তলানিতে পড়েছে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদের এমন দাবির জবাবে তিনি বলেন, ‘‘বিএনপিই রাজনৈতিকভাবে দেওলিয়া হয়ে গেছে। আমাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে।’’
এসময় তিনি সরকারের জনপ্রিয়তা যাঁচাই করার জন্য বিএনপিকে তাদের জনপ্রিয় একটি আসন ছেড়ে দিয়ে উপ নির্বাচনে আসার প্রস্তাব দেন।
হানিফ বলেন, ‘‘দেশে কোনো সাংবিধানিক সংকট নেই যে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হবে।’’
বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘‘বিএনপি এতদিন বলেছেন বিদেশে তাদের কোনো প্রভূ নেই, তাহলে আজ বিদেশে খালেদা জিয়া কোন প্রভূদের কাছে গিয়েছেন?
খালেদা জিয়াকে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসে দেশের জনগণের কথা বলার আহবান জানান নাছিম।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘‘বিএনপি নেত্রী ষড়যন্ত্র করতে বিদেশ সফর করেছেন। তার জন্য তাকে আবার সংবর্ধনাও দেবে বিএনপি। বিএনপির লজ্জা হওয়া দরকার।’’
বিএনপির সংসদে না যাওয়াকে কটাক্ষ করে মায়া বলেন, ‘‘সংসদে যাবেন কীভাবে আপনার (খালেদা জিয়া) পাশে ফালু, সাকা, ওবায়দুর রহমান নেই।’’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘‘সংসদ থেকে পদত্যাগের হুমকি দিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি করে লাভ হবে না।’’

বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১১

'খালেদার সঙ্গে আলোচনায় গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে উদ্বেগ বৃটিশ মন্ত্রীর'

খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনায় গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নিয়ে যুক্তরাজ্যের এক মন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শমসের মোবিন চৌধুরী।

শমসের জানান, খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্য সফরের ষষ্ঠ দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে হাউস অব কমন্সে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী অ্যালান ডানকানের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তাকে যুক্তরাজ্যের উদ্বেগের কথা জানান মন্ত্রী।

"ডানকান খালেদাকে বলেন, সা¤প্রতিক সময়ে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় ক্ষুদ্র ঋণ গ্রীহতাদের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে কি না তাও পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাজ্য।"

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে এক সভায় খালেদা জিয়া বলেন, নোবেলবিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সরকারের আচরণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনামহানি ঘটছে।

নিয়োগে অনুমোদন না নেওয়ার কারণ দেখিয়ে ইউনূসকে দুই মাস আগে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে হেরে যান তিনি। এরপর কয়েকদিন আগেই তিনি পদত্যাগ করেন।

শমসের মোবিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সাক্ষাতে গ্রামীণ ব্যাংক, শেয়ারবাজার ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সাহায্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

"বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলে এসময় জানান ডানকান।"

ডানকানের উদ্ধৃতি দিয়ে মোবিন জানান, যুক্তরাজ্য বড় কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আর্থিক সাহায্য দেবে না। শিক্ষা ও ক্ষুদ্র প্রকল্পে সাহায্য অব্যাহত রাখবে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে।

অভ্যর্থনা সভায় খালেদা

হাউস অব কমন্সে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্র"পের আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার এক অভ্যর্থনা সভায় যোগ দেন খালেদা জিয়া। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন লর্ড আহমদ।

সভায় হোম অ্যাফেয়ার্স সিলেক্ট কমিটির চেয়ার কীথ ভাজ, রুশনারা আলী, নিকি মর্গান, লর্ড শেখসহ পার্লামেন্টারি গ্র"পের চেয়ারম্যান অ্যান মেইন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় খালেদা বলেন, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র ব্যাহত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনা করেন খালেদা। তিনি বলেন, "মইন উ আহমদ বাংলাদেশকে ২০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন।"

তার শামনামলে নারী শিক্ষা ও দারিদ্র্য বিমোচনের কথা উল্লেক করে বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

অভ্যর্থনা সভায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে শফিক রেহমান, ডা. ওসমান ফারুক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার মমতার শপথ




পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার শপথ নিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

বেলা ১টা ১ মিনিটে রাজভবনে প্রথমে মমতা এবং পরে তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পড়াবেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। এ উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ভারতীয় কংগ্রেস থেকে সাতজন মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারেন বলেও জানা গেছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স এডিটর বেবী মওদুদ কলকাতা থেকে জানান, শপথ অনুষ্ঠান সামনে রেখে রাজভবন সংলগ্ন শহীদ মিনারে বসানো হয়েছে চারটি জায়ান্ট স্ক্রিন। এসব স্ক্রিনে তৃণমূল নেত্রীর শপথ নেওয়ার দৃশ্য সরাসরি দেখতে পাবে কলকাতাবাসী। অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখানো হবে বিভিন্ন টেলিভিশনেও।

বৃহস্পতিবার কালিঘাটের বাসায় গিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বেবী মওদুদ। তিনি জানান, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকসহ প্রায় পাঁচ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিকে শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তৃণমূল-কংগ্রেস জোটের নেতারা জানিয়েছেন, শপথ অনুষ্ঠান হবে বাংলায়। আর বিধান সভার নব নির্বাচিত সদস্যরা শপথ অনুষ্ঠানে যাবেন পুরোপুরি বাঙালি পোশাকে- ধুতি পাঞ্জাবি ও শাড়ি পড়ে।

তবে কংগ্রেস মুখপাত্র জনার্দন ত্রিবেদী জানিয়েছেন, দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী খুব সম্ভবত শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারছেন না। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনি এবং কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাকিল আহমেদ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ।

পশ্চিমবঙ্গের বিধাসভা নির্বাচনে ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২২৪টিই জিতে নেয় মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল-কংগ্রেস জোট। আর এর মধ্য দিয়ে ভারতের এ রাজ্যে বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।

১৩ মে এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় পরাজয় নিশ্চিত জেনে পদত্যাগপত্র জমা দেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বামফ্রন্ট নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য। বুদ্ধদেব নিজেও নির্বাচনে পরাজিত হন।

তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মমতা বন্দোপাধ্যায় আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে উঠছেন না। শুক্রবার শপথ অনুষ্ঠান শেষে রাজভবন থেকে সরাসরি রাইটার্সে নিজের কার্যালয়ে যাবেন তিনি। অফিস করবেন কালিঘাটে নিজের বাড়ি থেকেই।

বৃহস্পতিবার সারাদিন বৃষ্টির মধ্যেও বহু মানুষ ফুল আর উপহার নিয়ে কালিঘাটে যান 'দিদির' সঙ্গে দেখা করতে। সবার সঙ্গেই আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলেন সদ্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ; অভিনন্দনের জবাবে ধন্যবাদ দেন।

একটি সূত্রে জানা গেছে, মমতা বন্দোপাধ্যায় শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন। তবে তার এই সফরের তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।

এদিকে মামতার মন্ত্রীসভায় যোগ দেওয়ার বিষয়টি 'ইতিবাচক'ভাবেই দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।

ভারতীয় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার কলকাতায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকেই এ বিষয়টির ফয়সালা হওয়ার কথা।

অবশ্য মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কংগ্রেস থেকে ৭ জন মমতার মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে পারেন।

মমতা বিধানসভা নির্বাচনে জযী হয়েই বলেছিলেন, জোট হিসেবে নির্বাচন হয়েছে, জোট হিসেবেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার চলুক।

১৯৫৫ সালের ৫ জানুয়ারি কালিঘাটের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু অল ইন্ডিয়া কংগ্রেসের মাধ্যমে। ১৯৭৬ সালে রাজ্য মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি।

১৯৮৪ সালে যাদবপুর আসন থেকে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর অল ইন্ডিয়া যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মমতা। ১৯৯১, ৯৬, ৯৮, ৯৯, ২০০৪ ও ২০০৯ সালে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাওয়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৯৭ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করার পর থেকেই দলটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মমতা। গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের সমস্যা, নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর ও রেজওয়ান হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব ছিলেন কলকাতার মানুষের 'দিদি' হিসেবে পরিচিত এই নেত্রী।

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধীদলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন সিপিআই (এম)-এর সূর্যকান্ত মিশ্র। ৩৪ বছর পর এ রাজ্যে বিরোধী দলের আসনে বসবে বামফ্রন্ট।

বুধবার, ৪ মে, ২০১১

Islamist militant leads prayers for Osama in Pakistan




The founder of one of Pakistan’s most violent Islamist militant groups has told Muslims to be heartened by the death of Osama bin Laden, as his ‘martyrdom’ would not go in vain, a spokesman for the group said on Tuesday.The media are often barred from gatherings of Lashkar-e-Taiba, the militant group blamed for the 2008 terror attacks on Mumbai.
But a spokesman for Hafiz Mohammad Saeed said he had told followers at special prayers held for the slain al-Qaeda leader that this ‘great person’ would continue to be a source of strength and encouragement for Muslims around the world.
‘Osama bin Laden was a great person who awakened the Muslim world,’ Saeed’s spokesman Yahya Mujahid quoted him as saying during prayers at the headquarters of the LeT’s charity in the Punjab capital Lahore on Monday.
‘Martyrdoms are not losses, but are a matter of pride for Muslims,’ Saeed said. ‘Osama bin Laden has rendered great sacrifices for Islam and Muslims, and these will always be remembered.’
LeT, one of the largest and best-funded Islamist militant organisations in South Asia, is blamed for the November 2008 assault on Mumbai, which killed 166 people in India’s commercial hub. Its founder, Saeed, now heads an Islamic charity, a group the United Nations says is a front for the militant group.
Western security analysts believe that LeT is linked to al-Qaeda, though LeT officials deny this.
Mujahid said thousands of Saeed’s followers, many of them often in tears, took part in the prayers.
Al-Qaeda leader bin Laden was shot dead by US special forces in an operation targeting a compound near Pakistan’s main military academy in the northwestern garrison town of Abbottabad early on Monday.
Saeed founded LeT in the 1990s but abandoned its leadership after India blamed it and another militant group for an attack on the Indian parliament in December 2001.

‘Osama is alive!’ mock Pakistanis outside bin Laden home
Dozens of Pakistani youths on Tuesday demonstrated outside the upmarket compound where Osama bin Laden was killed, mocking the United States and shouting ‘Osama is alive!’
Unconvinced by news that the al-Qaeda kingpin had been living in their leafy city of Abbottabad, one protester dressed up as the world’s ‘most-wanted’ man, who was killed in a helicopter raid by US commandos.
‘Osama is alive, here comes Osama!’ he exclaimed jokingly, donning a white turban and hiding his face with a cloth,