বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১১

'খালেদার সঙ্গে আলোচনায় গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে উদ্বেগ বৃটিশ মন্ত্রীর'

খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনায় গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নিয়ে যুক্তরাজ্যের এক মন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শমসের মোবিন চৌধুরী।

শমসের জানান, খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্য সফরের ষষ্ঠ দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে হাউস অব কমন্সে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী অ্যালান ডানকানের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তাকে যুক্তরাজ্যের উদ্বেগের কথা জানান মন্ত্রী।

"ডানকান খালেদাকে বলেন, সা¤প্রতিক সময়ে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় ক্ষুদ্র ঋণ গ্রীহতাদের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে কি না তাও পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাজ্য।"

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে এক সভায় খালেদা জিয়া বলেন, নোবেলবিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সরকারের আচরণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনামহানি ঘটছে।

নিয়োগে অনুমোদন না নেওয়ার কারণ দেখিয়ে ইউনূসকে দুই মাস আগে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে হেরে যান তিনি। এরপর কয়েকদিন আগেই তিনি পদত্যাগ করেন।

শমসের মোবিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সাক্ষাতে গ্রামীণ ব্যাংক, শেয়ারবাজার ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সাহায্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

"বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলে এসময় জানান ডানকান।"

ডানকানের উদ্ধৃতি দিয়ে মোবিন জানান, যুক্তরাজ্য বড় কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আর্থিক সাহায্য দেবে না। শিক্ষা ও ক্ষুদ্র প্রকল্পে সাহায্য অব্যাহত রাখবে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে।

অভ্যর্থনা সভায় খালেদা

হাউস অব কমন্সে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্র"পের আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার এক অভ্যর্থনা সভায় যোগ দেন খালেদা জিয়া। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন লর্ড আহমদ।

সভায় হোম অ্যাফেয়ার্স সিলেক্ট কমিটির চেয়ার কীথ ভাজ, রুশনারা আলী, নিকি মর্গান, লর্ড শেখসহ পার্লামেন্টারি গ্র"পের চেয়ারম্যান অ্যান মেইন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় খালেদা বলেন, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র ব্যাহত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনা করেন খালেদা। তিনি বলেন, "মইন উ আহমদ বাংলাদেশকে ২০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন।"

তার শামনামলে নারী শিক্ষা ও দারিদ্র্য বিমোচনের কথা উল্লেক করে বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

অভ্যর্থনা সভায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে শফিক রেহমান, ডা. ওসমান ফারুক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন